ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সৈকতে দেদারছে চলছে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার

সুজাউদ্দিন রুবেল :: প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধে উচ্চ আদালতে আদেশ থাকলেও পর্যটন শহর কক্সবাজারে ব্যাপক হারে বেড়েছে প্লাস্টিকসহ পলিথিনের ব্যবহার। হোটেল মোটেল জোন, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান কিংবা সৈকতের বালিয়াড়িতে যত্রতত্রভাবে পড়ে আছে প্লাস্টিক। এতে পরিবেশদূষণ, সমুদ্রের জলজ উদ্ভিদ ও পরিবেশকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে বলে দাবি পরিবেশবাদিদের।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সৈকতের বালিয়াড়ির সাগর লতাতে পড়ে আছে নানা প্রকার প্লাস্টিক পণ্যসহ পলিথিন। আরেকটু সামনে দেখা যায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। সৈকতের বালিয়াড়িতেও পড়ে আছে প্লাস্টিকের চায়ের কাপ, পানির বোতল, পলিথিনসহ ময়লা-আর্বজনা। সৈকত এলাকার প্রতিটি দোকানে দেদারছে চলছে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার। যা ব্যবহার করে যত্রতত্রভাবে ফেলা হচ্ছে সৈকতের বালিয়াড়িতেই।

সৈকতের ঘুরতে এসে পর্যটকরা জানালেন, কফির কাপ-মগসহ ওয়ান টাইম ব্যবহারিক পণ্যের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় নিজেদেরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন তারা। যেন যত্রতত্র এসব পণ্য ফেলা না হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও সৈকতে ব্যাপকহারে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বাড়ায় বায়ুদূষণ, সমুদ্রের জলজ উদ্ভিদ ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকি মুখে পড়ছে বলে দাবি পরিবেশবাদিদের। এনভায়রনমেন্ট পিপল’র প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদের দাবি, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানালেন, প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অবশ্যই সকলকে পরিবেশ আইন মানতে হবে।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দেশের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও উপকূলীয় অঞ্চলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার এক বছরের মধ্যে নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

পাঠকের মতামত: